বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন
মো. আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম ::
চাই, চাই, চাই!!! কেন আমাদের এত চাওয়া?আবার অনেকেই প্রশ্ন তুলবেন কেনই বা নয় চাওয়া! তাহলে আমাদের কোন দিকে যাওয়া উচিত, চাওয়া নাকি না চাওয়া। অবশ্য অনেকেই বলবেন চাওয়া, আবার কেউ বলবেন না চাওয়া।তাহলে দেখি, আমরা যেসব মানুষ চাওয়ার দলে তারা কি কি চাই? সুস্থ জীবণ চাই, সামাজিক মর্যাদা চাই, অর্থ চাই, রাজনৈতিক ক্ষমতা চাই, ভাল চাকুরী চাই, ভাল নববধূ চাই, পৃথিবীতে নেতৃত্ব দিতে চাই, চতুরদিকে শুধু চাই, আর চাই! যা আমরা সহজে চাই না তাহলো চাই এর বিপরীত।
এ চাওয়াগুলো পূরণের জন্য ব্যস্ত হয়ে পরি জীবণের শেষ দিন পর্যন্ত। আমাদের চাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা নেই কিন্তু সমস্যা হলো এক যায়গায় তাহলো চাওয়াগুলোর পন্থাগুলো সঠিক, নাকি সঠিক নয়। আমরা যে পৃথিবীতে বসবাস করছি তা সৃষ্টি কর্তার দেওয়া আমাদের জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার।
পৃথিবী নামক যে গ্রহটিতে বসে আমাদের এতো চাওয়া তা নিয়ে কী একবারও আমরা ভেবেছি?পৃথিবী মূলত সৌরজগতের একটি গ্রহ মাত্র, আর যে সূর্য পৃথিবীকে আলোকিত করছে তা একটি নক্ষত্র মাত্র। সূর্য হলো আট সন্তানের জনক, এদেরকে নিয়ে তার যে পরিবার তা’হলো সৌরজগৎ।
এরকম সূর্যের মত নক্ষত্রের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা একশত কোটির ও বেশি। সূর্যের নিকটতম নক্ষত্রের নাম প্রোক্সিমা সেন্টারাই। মানুষ সৌরজৎ এর পৃথিবী, মঙ্গল এবং পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ, এগুলো নিয়েও সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ভাল ভাবে জানতে পারেনি।
এ গুলো সৃষ্টির মহা কারিগড় যিনি, তার কুদরত সম্পর্কে জানতে চাওয়ার চাই খুবই কম। দেখেন তার ক্ষমতা কত, পৃথিবীকে তিনি দু’টি ভাগে ভাগ করেছেন যার ২১% মাটি(৭ টি মহাদেশ), এবং ৭৯% পানি (৫ টি মহাসাগর)। পৃথিবীতে যাদের প্রাণ আছে সেই প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য পানি। পানি থাকলে গাছ আছে,আর গাছ থাকলে অক্সিজেন আছে আর অক্সিজেন থাকলে প্রাণ আছে অর্থাৎ আমরা(মানুষ) আছি।
আমাদের যত চাওয়া সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা সব পূরণ করে যদি, তিনি বায়ুমণ্ডলে কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমান বেশি না শুধু মাত্র ৩% থেকে ৩০% করে দেয় তাহলে কিন্তু “চাই, আর চাই” করার কেউ থাকবে না অর্থাৎ পৃথিবী থেকে প্রাণির বিলুপ্তি ঘটবে।
আমাদের চাওয়াটাকে যদি কমিয়ে পৃথিবীতে তার (আল্লাহর) হুকুম মেনে চলার চেষ্টা করি তাহলে কিন্তু আমরা পৃথিবীর সেরা জীব হিসেবে বেচে থাকতে পারি, তেমনি পরকালেও শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা ধরে রাখতে সক্ষম হব ইনশা-আল্লাহ। সুতারং আমাদের জীবণের চাওয়া যেন হয় তার (আল্লাহর) সন্তুষ্টির জন্য।
লেখক : মো. আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম: কলামিস্ট, শিক্ষাগুরু, প্রাবন্ধিক, আইনজীবী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সমাজকর্মী ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা।